পীরগঞ্জ (প্রতিনিধি) : রংপুরের পীরগঞ্জে এক অসহায় পরিবারের জমি জবরদখল করে পুকুর খনন করাসহ ঐ পরিবারকে ভিটেবাড়ী থেকে উচ্ছেদের জন্য একাধিক মিথ্যা মামলা দেয়ার চেষ্ঠা করা হচ্ছে। মামলায় মহিলাসহ ৭ম শ্রেণী ও কলেজ পড়ুয়া ছাত্রকেও আসামী করা হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার চৈত্রকোল ইউনিয়নের দানিসনগর রাঙ্গামাটি গ্রামে।
অভিযোগে জানা যায়, দানিসনগর রাঙ্গামাটি গ্রামের মৃত আশকর আলীর পুত্র শাহজাহান আলী ও শাহীন মিয়াসহ গত ২০১৮ সালে প্রতিবেশী দেলোয়ারা বেগম ও নাছিমা বেগমের নিকট হতে ২৮ শতাংশ জমি দলিলমুলে ক্রয় পূর্বক ভোগ দখল করে আসছিলেন। সম্প্রতি পার্শ্ববর্তী জলাইডাঙ্গা গ্রামের মৃত ছাদেক আলীর পুত্র প্রভাবশালী ইছাহাক আলী উক্ত জমি জোরপুর্বক নিজের দাবি করে রাতের অন্ধকারে ভাড়াটে লোকজন ও ভেকু দিয়ে পুকুর খননের চেষ্টা করে।
এতে শাহজাহান ও তার পরিবারের লোকজন বাধা দিতে গেলে ইছাহাক ও তার ভাড়াটে ডাঙ্গাবাজ আলমগীর হোসেনের নের্তৃত্বে দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে প্রতিবাদকারীদের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে ৪/৫ জনকে গুরুতর আহত করে।
- রংপুরে ৪৫০ পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার ২
- হারাগাছ পৌরসভা নির্বাচনে বিজয়ী হলেন স্বতন্ত্রপ্রার্থী
- সৈয়দপুর পৌর নির্বাচনে সহিংসতায় নিহত ১, আহত ২
- পীরগঞ্জে বিপিডিএ এর সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত
- পুলিশ ও ছাত্রদলের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ চলছে
এছাড়া প্রায়ই ঐ অসহায় পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকী ধামকী দিয়ে আসছে। ধুরন্ধর ইছাহাক আলী রাতের অন্ধকারে খননের পাশাপাশি পুকুর পাড়ে টিনসেটের একটি অস্থায়ী ঘরও নির্মাণ করে।
এ ঘটনায় শাহজাহান আলী গত ১১ নভেম্বর-২০২০ তারিখে রংপুর জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৪৪ ধারার মামলা করেন। মামলা নং মিসপিটিশন- ৫৯২/২০। এরই প্রেক্ষিতে ইছাহাক আলীকে থানা পুলিশ বিরোধপূর্ণ ঐ জমির আকার পরিবর্তণে বাধা দেয়াসহ অনাধিকার প্রবেশে নিষেধ করে। কিন্তু ইছাহাক আলী পুলিশ ও আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে ভাড়াটিয়া লোক এনে প্রকাশ্যে পুকুর খননের কাজ করেই চলছে।
এদিকে গত ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২১ ইং রাতে প্রতিপক্ষ শাহজাহান ও তার পরিবারকে ঘায়েল করতে ইছাহাক তার পুকুর পাড়ে জোড়পুর্বক নির্মানকৃত টিনসেটের ঘরটিতে নিজেরাই আগুন ধরিয়ে দেয় এবং একই পরিবারের ১২ জনকে আসামী করে রংপুর জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি মিথ্যা মামলা করেন।
মামলায় মহিলাসহ ৭ম শ্রেণী ও কলেজ পড়ুয়া ছাত্রকেও আসামী করা হয়েছে। মামলায় উল্লেখ করা হয়, ঘরে রক্ষিত শ্যালো মেশিন, মৎস্য চাষের জন্য ১০ বস্তা খুদ গুড়া, ২০ বস্তা খৈল, ৫ বস্তা ভূষি, মাছ ধরা ৩টি জাল অপরিচিত অটোতে তুলিয়া নিয়ে যায় এবং ঘরে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, যে পুকুর পাড়ের টিনসেটের ঘর পোড়ানোর মামলা করা হয়েছে সে পুকুরে মাছ ছাড়া হয়নি, পানিও নেই বললেই চলে। আর শ্যালো মেশিনসহ যে পরিমাণ মৎস্য খাদ্যের কথা উল্লেখ করা হয়েছে ঐ ছোট্র ঘরটিতে ধরার কথাও নয়। এর আগে ইছাহাক পীরগঞ্জ থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা না পাওয়ায় মামলা গ্রহণ করেনি।
ভুক্তভোগি পরিবারটি এ ব্যাপারে রংপুর জেলা পুলিশ সুপারের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
আরসিএন ২৪ বিডি. কম / ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১