শরীরের বাড়তি মেদ কিভাবে দূর করা যায় তার কয়েকটি সহজ উপায় পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো।
প্রতিদিনের সকালটা শুরু হোক লেবুর সরবত দিয়ে। এই পদ্ধতি পেটের মেদ কমানোর সবচেয়ে কার্যকরী ১টি উপায়। ১ গ্লাস হালকা গরম পানিতে লেবু চিপে সরবত করে সঙ্গে একটু লবণ মিশিয়ে নিন। ইচ্ছে হলে একটু মধুও মিশিয়ে নিতে পারেন। কিন্তু চিনি মিশাবেন না। প্রতিদিন সকালে পানীয়টি পান করুন। এই পানীয় আপনার বিপাক প্রক্রিয়া বাড়িয়ে পেটের মেদ কমাতে সাহায্য করবে।
সাদা ভাত কম খান অথবা কিছুদিনের জন্য ছেড়ে দিন সাদা চালের ভাত খাওয়া। সাদা চালের ভাতের বদলে বিভিন্ন গম জাতীয় শস্য যুক্ত করে নিন আপনার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায়। তাছাড়া লাল চালের ভাত, গমের রুটি, ওটস, অন্যান্য শস্য যুক্ত করে নিতে পারেন।
পেটের বাড়তি মেদ কমাতে প্রতিদিন কত কিছুই না করছেন। মানতে হচ্ছে কঠিন নিয়ম-কানুন। যদি বলি যে বেশি দিন কেন, মাত্র এক সপ্তাহে এই বাড়তি মেদ কমানো সম্ভব তবে কি অবাক হবেন?
খুব সহজ কিছু উপায় অবলম্বণেই এক সপ্তাহের মধ্যে কমে যাবে পেটের বাড়তি মেদ। চলুন তবে জেনে নিই।
খাবার ভালোভাবে চিবিয়ে খান
খাবার খাওয়ার সময় ভালোভাবে চিবিয়ে খান। এতে খাবার ভালোভাবে হজম হবে, সঙ্গে পেটে গ্যাসও জমবে না।
লবণ এড়িয়ে চলুন
মেদ কমানোর সহজ উপায় হলো খাদ্যে লবণের আসক্তি দূর করা। কারণ সোডিয়াম মেদ জমতে সাহায্য করে। এক্ষেত্রে সামুদ্রিক লবণ ব্যবহার করতে পারেন। তবে লবণ যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলাই ভালো।
চিনিকে না বলুন
চিনি দ্রুত মেদ বাড়ায়। তাই চায়ে চিনি বা সুগার সিরাপ খাবেন না। চিনি খাওয়া বন্ধ করুন। এতে করে গ্লুকেগন হরমোন নিঃসরণ হবে। এই হরমোন অতিরিক্ত চর্বি গলাতে সাহায্য করে।
এক্সারসাইজ
প্রতিদিনই শরীর থেকে ঘাম ঝরান। পারলে জিমে গিয়ে এক্সারসাইজ করুন বা বাসায় এরোবিক্সও করতে পারেন। সম্ভব না হলে সকালে ও বিকেলে জোরে জোরে ১৫ থেকে ২০ মিনিট করে হাঁটুন। এক সপ্তাহ পর আয়নায় তফাতটা খুব সহজেই বুঝতে পারবেন।
দুপুর ও রাতের মাঝে খান
লাঞ্চ ও ডিনারের মধ্যবর্তী লম্বা সময়ের কোনো এক অংশে উচ্চ প্রোটিন ও ভিটামিন ‘সি’ সমৃদ্ধ স্ন্যাকস খান। তবে তাতে যেন ক্যালরির মাত্রা কম থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। নিয়ম অনুযায়ী প্রতি চারঘণ্টা পর পর খাওয়া উচিত। এতে রক্তে সুগারের মাত্রা ঠিক থাকে ও একসঙ্গে বেশি খাওয়া হয় না বলে মেদও জমে না।
খাদ্য রুটিন
পেটের মেদ কাটিয়ে উঠতে চাইলে প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। তাহলে শরীরের বিপাকের হার বাড়ানোর পাশাপাশি শরীরের বিষাক্ত উপাদানগুলোকে দূর করে দিবে। তাই পানিকে প্রাকৃতিক ক্লিঞ্জার বলা হয়।
কাঁচা রসুনের কয়েক কোয়া সকাল বেলা চুষে খান। তারপরে লেবুর সরবত পান করুন। এই চিকিৎসাটি আপনার ওজন কমানোর জন্য সাহায্য করবে এবং শরীরের রক্ত প্রবাহ সহজ করবে।
যতদিন পেটের মেদ না কমবে ততদিন নন-ভেজ খাদ্য অর্থাৎ মাংস, মাছ, ডিম, দুধ বাদ দিতে হবে। তবে মাছের টুকরোর চামড়া ফেলে খাওয়া যেতেই পারে।
প্রতিদিন সকাল এবং বিকাল এই দুই সময়ে ফল ও সবজি খান। তবে এক্ষেত্রে পানি জাতীয় ফল বাছাই করুন। এই অভ্যাসটি আপনার দেহে এন্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন এবং খনিজলবণ এর ঘাটতি পূরণ করবে।
ঝাল খাবার খান। অবাক হচ্ছেন? অবাক হবেন না। ঝাল খাবেন কিন্তু ঝালগুলো আসবে দারচিনি, আদা, গোলমরিচ এবং কাঁচামরিচ থেকে। এগুলো রান্নায় ব্যবহার করুন। এই মশলা স্বাস্থ্যকর। এগুলো শরীরের ইনসুলিন সরবরাহ বাড়ায় এবং রক্তের সুগার লেভেল কমাতে সাহায্য করে। তাই এগুলো ডায়াবেটিস রোগীর জন্যও বেশ উপকারী।
ঘুম নিয়ন্ত্রণ করুন
স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য পর্যাপ্ত ঘুমের বিকল্প নেই। কিন্তু দিনে না ঘুমানোই ভালো। এতে শরীরে মেদ জমে। ঘুম ছাড়া বিছানায় শুয়ে থাকবেন না। ক্লান্ত লাগলে ২০ মিনিটের বিউটি স্লিপ নিতে পারেন।
আরসিএন ২৪বিডি .কম / ১৩ ডিসেম্বর ২০২০