ময়মনসিংহে গোয়েন্দা (ডিবি) কর্মকর্তা আকরাম হোসেন ও তার টিম সদস্যদের বিরুদ্ধে সাংবাদিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।
গত বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) সাংবাদিক খায়রুল আলম রফিকের পক্ষে আইনজীবী এডভোকেট শেখ আবু সাদাত মোহাম্মদ খায়ের আদালতে দুই পুলিশ সহ ৭/৮ জনের বিরুদ্ধে এমনি অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
নির্যাতন এবং হেফাজতে মৃত্যু (নিবারন) আইন ২০১৩ এরে ১৩(১), ২(খ), ১৫ (১) ও ১৫ (৩) ধারায় এই মামলা করা হয়।
আদালতে মামলার প্রেক্ষিতে রবিবার (২৪ জানুয়ারি) বিজ্ঞ আদালত ময়মনসিংহ পুলিশ সুপারকে এ সংক্রান্ত বিষয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এবং ময়মনসিংহ কোতয়ালি মডেল থানাকে মামলা আমলে নেওয়ারও নির্দেশনা দিয়েছেন। সাথে সাথে সাংবাদিক খায়রুল আলম রফিকের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্যও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আইনজীবী এডভোকেট শেখ আবু সাদাত মোহাম্মদ খায়ের ।
সাংবাদিক খায়রুল আলম রফিকের অভিযোগ, এসআই আকরাম হোসেন তাকে আটক করে ডিবি হেফাজতে রাখার নামে অকথ্য নির্যাতন চালায় যা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। আকরামের যোগসাজশে ষড়যন্ত্রমূলক ৩টি মামলায় গ্রেফতার হয়ে দীর্ঘ দুই মাস থাকতে হয় ময়মনসিংহ কেন্দ্রীয় কারাগারে। আটকের পর তার চোখ বেঁধে অকথ্য নির্যাতন চালানো হয়। ২০১৮ সালের ২৯ নভেম্বর রাত ১১টার দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল গেইটের বিপরীত দিকে তিনি অবস্থান করেছিলেন।
পরে তাকে চোখ বেঁধে একটি কালো হায়েজ গাড়িতে করে ময়মনসিংহ চরপাড়ায় পত্রিকার কার্যালয়ে নিয়ে যায়। সেখানে থাকা আমার জমি ক্রয়ের দলিল, জনতা ব্যাংকের চেক ও ৪ টি কম্পিউটার, দুটি মোবাইল, ভোটার আইডি কার্ড, পরিবারের সকল কাগজপত্র নিয়ে যায়। দলিল ও জনতা ব্যাংক চেক প্রতিপক্ষের কাছে তুলে দিয়ে জব্দ দেখানো হয় শুধু ১টি কম্পিউটার এবং একটি মোবাইল। সেখান থেকে তাকে নেয়া হয় ময়মনসিংহের ব্রহ্মপুত্র পুরাতন গুদারাঘাটস্থ দুর্গম চর এলাকায়। এ সময় দু’চোখ বেঁধে দু হাত পেছনে বেঁধে নির্যাতন চালায়।
আরসিএন ২৪বিডি. কম / জিএম
অনলাইন আপডেট : ২:০৮ পিএম, ২৪জানুয়ারি ২০২১