ইসলাম ডেস্ক: প্রতিদিনের জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করেছেন আল্লাহ । শুধু শুক্রবার জুমা’র দিনে যোহরের পরিবর্তে জুমার নামাজের কথা বলা হয়েছে ।
জুম্মার দিনের সীমাহীন ফজিলত ও সওয়াব রয়েছে। নবী করিম (সা.) বিভিন্ন হাদিসে এসব ফজিলতের কথা তুলে ধরেছেন। বোখারি শরিফের হাদিসে রয়েছে রাসূল (সা.) বলেছেন, কোনো পুরুষ যখন জুমা’র দিন গোসল করে, সাধ্যমতো পবিত্রতা অর্জন করে, তেল ব্যবহার করে বা ঘরে যে সুগন্ধি আছে তা ব্যবহার করে, তারপর (জুমা’র জন্য) বের হয় এবং (বসার জন্য) দুই জনকে আলাদা করে না, এরপর সাধ্যমত নামাজ পড়ে এবং ইমাম যখন কথা বলে তখন চুপ থাকে, তাহলে অন্য জুমা পর্যন্ত তার (গুনাহ) মাফ করা হয়। (সোবহানাল্লাহ )
জুমার দিনে পাঁচটি কাজের বিনিময়ে নিশ্চিত জান্নাতের ঘোষণা দিয়েছেন আমাদের বিশ্বনবি। হাদিসে এসেছে-হজরত আবু সাঈদ খুদরি রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘এমন পাঁচটি কাজ আছে যে ব্যক্তি একই দিনে ওই পাঁচটি কাজ করবে, আল্লাহ তাআলা তাকে জান্নাতবাসী বলে লিখে দেবেন।’
পাঁচটি কাজ হলো
— কেউ রোগাগ্রস্ত হলে তাকে দেখতে যাওয়া, তার সেবাযত্ন বা খোঁজ-খবর নেয়া।
– কেউ মারা গেলে তার জানাজায় অংশগ্রহণ করা।- এ দিন রোজা রাখা।
– জুমআর নামাজ আদায় করা।
– গোলামমুক্ত করে দেয়া। (মুসলিম)
সুতরাং কোনো মুমিন বান্দা যদি নিজেকে সুনিশ্চিত জান্নাতি হিসেবে দেখতে চান, তাকে জুমআর দিন উল্লেখিত কাজগুলো যথাযথভাবে আদায় করতে হবে। আর তাতে নিশ্চিত জান্নাতের অধিকারী হবেন মুমিন।আল্লাহ তাআলা বিশ্বের মুসলিম উম্মাহকে নিশ্চিত জান্নাত লাভের নিয়তে জুমআর দিন উল্লেখিত কাজগুলো যথাযথভাবে আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
আরসিএন ২৪বিডি. কম / ২৪ ডিসেম্বর ২০২০